মাগুরা জেলা ও থানাধীন হাজীপুর ইউনির়নভুক্ত শ্রীরামপুর একটি জনবহুল বর্ষিষু গ্রাম । এ গ্রামে বর্তমান
শিক্ষার হার ৪০% । এখানে উচ্চদ্যালয়, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, পানি উন্নয়ন বোর্ড অফিস, কমিউনিটি
ক্লিনিক, বাজার ও অন্যান্য শিক্ষা-সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান বিদ্যমান। শ্রীরামপুর গ্রামে জন্মগরহণকারী
অনেক মানুষ দেশ-বিদেশে অনেকে অনেকভাঁবে কৃতিবান হয়ে গ্রামের সুনাম বৃদ্ধি করেছেন ও করছেন।
শ্রীরামপুর গ্রামসহ আশেপাশের লোকজনের মধ্যে শিক্ষার আলো অতীতকাল হতেই দীপ্যমান। আশেপাশের
গ্রামের চেয়ে শ্রীরামপুর গুরুত্বপূর্ণ গ্রাম হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে। শ্রীরামপুর গ্রামসহ পার্শ্ববর্তী
গ্রামগ্ুলোতে শিক্ষা ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান থাকলেও কোন গ্রন্থাগার নেই। অবস্থার প্রেক্ষাপট বিচার-বিশ্রেষণ করলে
দেখা খায় গ্রামের জনসাধারণের শিক্ষার প্রসার, জ্ঞানার্জন, বিনোদন ও সংস্কৃতিচর্ার তেমন কোন সুযোগ না
থাকায়, বাজার ও বিদ্যালয়ের আশে-পাশে অহেতুক লোক সমাগম হতেই থাকে । এমতাবস্থায় তাদের জন্য
একটি সাধারণ গ্স্থাগার এবং গ্রন্থাণারে বই, পত্র-পত্রিকা পাঠ, তথ্যসেবা ও অংস্কৃতিচর্চার পর্যাপ্ত সুযোগ-সুবিধা
থাকলে নিজেরা সমৃদ্ধ হয়ে আলোকিত মানুষ হতে পারবে । তাতে এলাকার শিশু-কিশোর, ছাত্র-ছাত্রী ও সকল
শ্রেণির নর-নারী নির্বিশেষে সৃজনশীল সাহিত্য চর্চা, অধ্যবসায়, জ্ঞান-বিজ্ঞানের উৎকর্ষ সাধন, মানবিক
যুল্যবোধে ভূমিকা পালন করতে সক্ষম হবে বলে সচেতন এলাফাবাসীর ধারণা । শিশুদের আগামী দিনের
সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে এ গ্রন্থাগার সহায়ক ভূমিকা পালন করতে পারে। এছাড়া সর্বজনস্বীকৃত যে,
জ্ঞানভিত্তিক জাতি ও রাষ্ট্র গঠনে গ্রন্থাগারের কোন বিকল্প নেই।
গঠনতত্ত্রের ধারাসমূহ
ধারা ১৪ নামকরণ ও মনোগ্রাম/প্রতীক
(ক) নামকরণ ৪ এই প্রতিষ্ঠানের নাম ভাঃ অনাথবন্ধু বসু পাবলিক লাইব্রেরি । অতঃপর এই গঠনতন্ত্রে
গণণ্রস্থাগার বলতে “ভা অনাথবন্ধু বসু পাবলিক লাইব্রেরি” বুঝাবে।
খে) মনোগ্রাম/প্রতীক ৪ লাইব্রেরির উদ্দেশ্য ও আদর্শের সাথে সঙ্গতি রেখে একটি উপযুক্ত মনোগাম/প্রতীক
তৈরি করা যেতে পারে।
ধারা ২ প্রতিষ্ঠাতা
শ্রীরামপুর গ্রামে শিক্ষাবিস্তার, জ্ঞানচর্চা, প্রতিভাবিকাশ ও আলোকিত মানুষ তৈরীর লক্ষ্যে একটি পাবলিক
লাইবেরি প্রতিষ্ঠা করার ধারণা দীর্ঘদিন ধরে পোষণ ও প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনা গ্রহণ করেন এ গ্রামের স্বীয় ডাঃ
অনাথবন্ধু বসুর জ্ঞেষ্্য পুত্র জনাব হরেন্্রনাথ বসু। তিনি বাংলাদেশ সরকারের সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের
অধীনস্থ গণগ্রস্থাগার অধিদপ্তরের একজন উর্ধতন কর্মকর্তা (উপপরিচালক)। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে
ইনফরমেশন সায়েন্স গ্যান্ড লাইব্রেরি ম্যানেজমেন্ট বিভাগ থেকে এমএ ডিগ্রীধারী লাইব্রেরি বিশেষজ্ঞ। তাঁর
এঁকান্তিক ধ্যান-ধারণা, পরিকল্পনা, প্রশাসনিক ও আর্থিকসহ সকল প্রকার প্রচেষ্টা এবং সাহায্য-সহযোগিতায় এ
লাইব্েরিটি প্রতিষ্টা লাভ করে। লাইবেরির প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে এলাকাবাসী জনাব হরেন্দর নাথ বসুকে স্বীকৃতি ও
স্মরণ রাখবে।
ধারা ৩৪ অবস্থান
ডাঃ অনাথবন্ধু বসু পাবলিক লাইব্েরি’র প্রধান কা্ষলিয় হবে মাগুরা জেলা ও থানাধীন শ্রীরামপুর গ্রামের
কায়েস পাড়া।
ধারা ৪৪ প্রতিষ্ঠানের (লাইবেরি*র) প্রকৃতি
এটি বেসরকারি পাবলিক লাইব্বেরিকেন্দ্রিক সমাজকল্যাণমূলক, ধর্মনিরপেক্ষ ও অরাজনৈতিক উদারচিত্ত বিকাশ
প্রতিষ্ঠান হিসেবে বিবেচিত হবে।
ধারা ৫8 প্রতিষ্ঠানের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য
কে) পরিশীলিত জীবন গঠনের লক্ষে সমৃদ্ধশালী গ্রন্থাগার স্থাপন ও পাঠকসেবা প্রদান।
(খে) জ্ঞানভিত্তিক সমাজ গঠনে সহায়তা ।
গে) সর্বস্তরের জনগণের জন্য শিক্ষা ও জ্ঞানচর্চার সুযোগ সৃষ্টিসহ মানবসম্পদ উন্নয়ন।
ঘে) বই পড়ার মাধ্যমে সুস্থ্য অবসর বিনোদনের পরিবেশ সৃষ্টি করা ।
(ডে) জনগণের জন্য জাতীয় সাহিত্য, সংস্কৃতি, ইতিহাস-এঁতিহ্য বিষয়ে চেতনার বিপ্লব ঘটানো ।